অনেকেই এমন আছেন যে খুব সাধারণ কথায়ও খুব বেশি রেগে যায়। এই স্বভাবের কারণে খুব কাছের মানুষের সাথেও অনেক ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়ে যায়। একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত রাগ মেনে নেয়া গেলেও মাত্রাবিহীন রাগারাগি কারও কাম্য নয়। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে এই অতিরিক্ত রাগের পেছনে আর কোনো কারণ নেই তো?
সম্প্রতি কি আপনি কোনো ব্যাপার নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছেন? তবে এটা হতে পারে এই সমস্যার কারণ। দুশ্চিন্তার ফলে মনের মধ্যে এক ধরণের ভয় জাগে। না পাওয়ার ভয় কিংবা হারানোর ভয়। আর এই ভয় থেকে শুরু হয় অস্থিরতা আর খিটখিটে মেজাজের সুত্রপাত। এর ফলে মানুষ তার চারপাশের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন হয় যে, যে ব্যক্তি এই সমস্যায় ভুগছেন তিনি সহজে কাউকে জানাতে চান না এই ব্যাপারটা। ফলে মনের মধ্যে যে প্রচন্ড চাপ তৈরি হয় তা কমে যাওয়ার বা লাঘব হওয়ার কোনো সুযোগ পায় না। আর তখন মনের এই চাপ রাগের রূপে প্রকাশ পেয়ে যায়।
তার চেয়ে ভালো হয় আপনার সমস্যার কথা কাউকে জানান। এমন কাউকে জানান যার উপর আপনি ভরসা করতে পারেন বা যাকে আপনি বিশ্বাস করতে পারেন। হয়ত বা এমন হতে পারে যে ভালো কোনো সমাধানও পেয়ে যেতে পারেন যা আপনি এতোদিন খুঁজে পাচ্ছিলেন না! আর আশেপাশে এমন কাউকে না পেলে মনের কথাগুলো লিখে ফেলুন। লিখতে লিখতেই টের পাবেন যে মনের ভার অনেকটা কমে যাচ্ছে! সবার প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে, আপনি নিজেই বোঝার চেষ্টা করুন কেন এমন হচ্ছে। কারণ খুঁজে পেলে সমাধান সহজ হয়ে যাবে। হতাশাও এই রাগের কারণ হতে পারে। আবার হয়তো কোন কারণে যদি মনের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে তবে সেটাও এই অকারণে রাগারাগির পেছনে সুপ্ত কারণ হতে পারে। কারণ অনুসন্ধান করুন। বোঝার চেষ্টা করুন। সমাধানও পেয়ে যাবেন।
অতিরিক্ত রাগ মেন্টাল ডিসঅর্ডারের কারণেও হতে পারে যেমন বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সাইকোটিক ডিসঅর্ডার, এ ডি এইচ ডি ইত্যাদি।তাই কারো যদি খুব বেশি রাগ হয় এবং সেটা অনেক সময় ধরে থাকে,তাহলে তার অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
এই ক্ষেত্রে আশেপাশের মানুষদেরও কিছু দায়িত্ব থাকে। কাউকে এভাবে খুব রেগে যেতে দেখলে তার উপর বিরক্ত না হয়ে তার পাশে দাঁড়ান। জানার চেষ্টা করুন তার কিসে অসুবিধা। কোনো সমস্যা থাকলে একসাথে মিলে সে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে দেখুন। ফলে একদিকে আপনার আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়বে তেমনি নিজের প্রতি সম্মানবোধও বাড়বে।
এই ক্ষেত্রে আশেপাশের মানুষদেরও কিছু দায়িত্ব থাকে। কাউকে এভাবে খুব রেগে যেতে দেখলে তার উপর বিরক্ত না হয়ে তার পাশে দাঁড়ান। জানার চেষ্টা করুন তার কিসে অসুবিধা। কোনো সমস্যা থাকলে একসাথে মিলে সে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে দেখুন। ফলে একদিকে আপনার আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়বে তেমনি নিজের প্রতি সম্মানবোধও বাড়বে।
Tags:
স্বাস্থ্য সেবা